- by machine_lagbe
- 0
- Posted on
- 4
কাঠ মজুত করার বিভিন্ন উপায়।
ফার্নিচার তৈরী করার জন্য কাঠ ভালো রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আজকের আলোচনায় আমরা জানবো কাঠ মজুত করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে।
খোলা জায়গায় স্ট্যাকিং :
বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গাতে কাঠ খোলা আকাশের নিচে আসলে মজুত করা হয়। সকল ক্ষেত্রে শেড অথবা ছাউনির ব্যবস্থা করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। অনেকক্ষেত্রে আবার দেখা যায় যে অস্থায়ী ভাবে ছাউনি তৈরী করে তার নিচে কাঠ রাখা হয়। তবে কাঠ রাখার ময় কিছু বিয়ের উপর বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া উচিৎ :
১। কাঠ রাখার স্থানে কোনোভাবেই যেন বৃষ্টির পানি অথবা অন্য যেকোন পানি জমে না থাকতে পারে। সঠিক উপায়ে বা স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখলে কাঠ দ্রুত শুকিয়ে যায়। কাঠ যদি গায়ে গায়ে লাগিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়, তাহলে কাঠ সহজে শুকাবে না। সে জন্য মজুতকৃত কাঠের জায়গাটি খোলামেলা হতে হবে, যেখানে পানি জমে না।
২। মজুত করার জায়গা এমন হতে হবে যেন মাটির উপরে দিয়ে বাতাস সরাসরি কোন বাধা ছাড়াই বাতাস চলাচল করতে পারে। বাতাস চলাচলে বাধা থাকলে কাঠে ছত্রাক জমতে পারে।
৩। কম সময়ের জন্য অথবা অস্থায়ী ক্ষেত্রে ত্রিপল বা কাঠ ঢেকে রাখা যেতে পারে।
৪। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাঠ ট্রিটমেন্ট এর করলে ভালো হয়। না হলে কাঠে ছত্রাক বা পোকা ধরার সম্ভাবনা থাকে।
কাঠ যদি ত্রিপল বা পলিথিন দিয়ে ঢাকা থাকে তাহলে কাঠ অবশ্যই একটু উঁচু জায়গায় রাখতে হবে এবং ঘনঘন পরীক্ষা করে দেখতে হবে, যেন কোন দিক দিয়ে পানি ঢুকছে কিনা এবং কাঠে কোন ছত্রাক অথবা পোকা আক্রমণ করেছে কিনা।
স্থায়ী ছাউনিযুক্ত ষ্ট্যাকিং :
এক্ষেত্রে যেখানে আপনি কাঠ স্ট্যাকিং করবেন তার ওপরে একটি ছাদ বা ছাউনি থেকে এবং তার চারপাশ খোলা থাকে। তবে সব ধরণের কাঠ ছাউনি যুক্তি স্ট্যাকিং না করে ভালো। কাঠ শুকানোর পরে তারপরে এই ধরণের জায়গাতে স্ট্যাকিং করা উত্তম। মূলত খোলা জায়গায় স্ট্যাকিং অথবা স্থায়ী ছাউনিযুক্ত জায়গাতে ষ্ট্যাকিং করার নিয়ম প্রায় একই তবে স্থায়ী ছাউনিযুক্ত জায়গাতে মজুত করার নিম্নোক্ত কিছু বিষয়ে নজর দেয়া বিশেষ ভাবে দরকার :
১। উপরের ছাদ বা ছাউনি মজুতকৃত মূল জায়গা থেকে চারপাশে যথেষ্ট বড় হতে হবে। যেন বৃষ্টির ঝাপটা এসে না লাগে। এতে কাঠ পুনরায় ভিজে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২। যেদিক থেকে বৃষ্টির ঝাপটা এসে লাগার সম্ভবনা থাকে বা যেদিক থেকে বাতাস বেশি আসে সেদিকে বন্ধ থাকলে ভালো হয়। এতে বৃষ্টির পানি আসার সম্ভাবনা কম থাকে।
৩। এধনের শেড খোলা এবং উঁচু যেতে হতে হবে, যেন পানি জমতে না পারে।
৪। জায়গাটি বড় এবং খোলা মেলা হতে হবে এবং মজুতকৃত কাঠের ভিতরেও জায়গা রাখতে হবে। যেন কাঠগুলো সহজেই নড়াচড়া করানো যায়।
৫। মাটি শক্ত হতে হবে যেন কাঠের ভারে মাটি দেবে না যায়।
বন্ধ ঘরে কাঠ মজুতকরণ :
কাঠ শুকানোর পরে কাঠ চেরাই করে তক্তা করে সাধারণত বন্ধ ঘরে কাঠ মজুত করা হয়। তবে যে কোন ধরণের কাঠই এই ধরণের ঘরে মজুত করা যায়। এই ধরণের ঘরে দরজা জানালা ভালো করে বন্ধ থাকে। আদ্রতার এবং জায়গার আয়তনের উপরে নির্ভর করে এই ধরণের ঘরে বাতাস চলাচলের জন্য একাধিক ভেন্টিলেটর ব্যবহার করা উচিৎ।