Multi Boring
Showing the single result
মাল্টি বোরিং মেশিন – বর্তমানে মডার্ন বা মডুলার ফার্নিচার তৈরিতে ব্যবহৃত একটি আধুনিক মেশিন। এই মেশিন ব্যবহার করে তৈরিকৃত ফার্নিচার কে অনেকে নক-ডাউন ফার্নিচার ও বলে থাকেন। বর্তমানে যারা এক্সপোর্ট করার জন্য ফার্নিচার তৈরি করছেন অথবা ডিলার ভিত্তিক ফার্নিচার ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন তারা কম বেশি এই মেশিন সকলেই হয়তো চেনেন। মাল্টি বোরিং মেশিন হচ্ছে এমন একটি মেশিন যার মাধ্যমে একটি কাঠ অথবা বোর্ডের মধ্যে একই সময় এক বা একাধিক হোল বা গর্ত করার জন্য ব্যবহার করা হয়। মূলত একটি ফার্নিচারের বিভিন্ন পার্ট কে একটির সাথে অন্যটি জয়েন করতে আমরা স্কু ব্যবহার করি যা বাহির থেকে দেখতে খুবি বাজে লাগে এই সমস্যা থেকে বাচতে এবং ফার্নিচারকে একটি নতুন লুক দিতে ব্যবহার হয় একটি নব একটি স্কু এবং একটি নাট যেগুলোকে একত্রে বলে মিনি ফিক্স। আর এই মিনি ফিক্স কে ব্যাবহার করার পূর্বে ফার্নিচারের স্ট্রাকচার ও ডিজাইন অনুযায়ী কাঠ অথবা বোর্ডের মধ্যে হোরাইজোনটাল ও ভার্টিক্যাল হোল বা বোর করতে ব্যবহার করা হয় মাল্টি বোরিং মেশিন। এক সময় শুধু মাত্র বোর্ড দিয়ে তৈরি ফার্নিচারে এর ব্যাবহার থাকলেও এখন কাঠ এবং বোর্ড উভয় ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু মাত্র সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য নয় ফ্যাক্টরী থেকে শো-রুমে এবং শো-রুম থেকে কাষ্টমারের প্লেসে ফার্নিচার ক্যারিং এর সুবিধার্তে এবং অল্প জায়গায় অধিক ফার্নিচার রাখার সুবিধার্তে মানুষ এখন নক-ডাউন ফার্নিচার তৈরিতে উৎসাহিত হচ্ছে।
বোরিং মেশিন ছাড়া কাজ করলে কি সমস্যা হতে পারে :
– হাতে কাজ করার কারণে বোরের একুরেসি ঠিক থাকে না।
– হাতে বোরিং করার কারণে ছিদ্র আঁকাবাঁকা হয়। দুই বোর্ডের ছিদ্র একই মাপ মতো হয় না। এতে করে দুই বোর্ডের কানেকটিং পয়েন্ট এ ঠিক মতো এসেম্বল হয় না।
– ছিদ্র আঁকাবাঁকা হওয়ার কারণে ডাউলিং ঠিক মতো এডজাস্ট হয় না।
– সব ছিদ্রের গভীরতা একই না হওয়ার দরুন ড্রিল করার সময় বিট বোর্ডের ওপর পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
উপরোক্ত যে কোন একটি কারণে ফার্নিচার এর পার্ট গুলো ঠিক মতো জয়েন্ট হয় না এবং দুই পার্টের মাঝখানে ফাঁকা দেখা যায়।
বোরিং মেশিনের প্রকারভেদঃ
বোরিং মেশিনর কাজ একই হলেও প্রোডাকশন এবং কাজের জন্য হেড এর উপর ভিত্তি করে মেশিন অনেক রকম হতে পারে। যেমনঃ সিঙ্গেল হেড বোরিং মেশিন, টু হেড বোরিং মেশিন, ত্রি হেড বোরিং মেশিন, ফোর হেড বোরিং মেশিন, হরাইজন্টাল বোরিং মেশিন, সি এন সি বোরিং মেশিন ইত্যাদি। বাংলাদেশের ফ্যাক্টরি গুলোতে সর্বাধিক ব্যবহৃত মেশিন হলো টু হেড বোরিং মেশিন। এছাড়া অনেক ফ্যাক্টরিতে ত্রি হেড বোরিং মেশিন, ফোর হেড বোরিং মেশিন ও ব্যবহার করছে।
হরাইজন্টাল বোরিং মেশিনটি সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই মেশিনে বোরিং করার জন্য প্রোডাক্টে আপনাকে আগে থেকে ভার্টিক্যাল বোরিং করে নিয়ে আসতে হবে। অনেকেই সি এন সি রাউটার মেশিনে ভার্টিক্যাল বোরিং করেন। তারপর প্রোডাক্টকে হরাইজন্টাল বোরিং এ নিয়ে আসলে লেজার দিয়ে মার্কিং করে যেখানে ভার্টিক্যাল বোরিং করা আছে সেই অনুযায়ী হরাইজন্টাল বোরিং করে দিবে।
এগুলো ছাড়াও অনেক আধুনিক সি এন সি বোরিং মেশিন আছে যেগুলো সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই মেশিন গুলোতে যেরকম ডিজাইন করে দিবেন সেই অনুযায়ী হরাইজন্টাল এবং ভার্টিক্যাল দুই ধরণের প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরণের সাইজের বোরিং করবে।
বোরিং মেশিনের দাম :
বোরিং মেশিনের দাম হেডের প্রকারভেদ এবং অরিজিন অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তবে একটি সিঙ্গেল হেড বোরিং মেশিনের দাম প্রায় ২ লক্ষ টাকা আবার টু হেড বোরিং মেশিন যেটি বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত মেশিন , এটার দাম ৪.৫ লক্ষ টাকা থেকে শুরু হয়। আবার একটি হরিনজানটাল বোরিং মেশিনের দাম ১২ লক্ষ টাকার মত হয়। (বিঃ দ্রঃ এখানে যে দাম উল্লেখ করা হয়েছে সেটি ডলার এর দাম, মেশিনের কনফিগারেশন এবং বিভিন্ন সিচুয়েশন অনুযায়ী পরিবর্তনশীল)
যে কোন নক ডাউন ফার্নিচার যেমন কর্পোরেট ফার্নিচার, কিচেন কেবিনেট অথবা বোর্ডের কেবিনেট ইত্যাদি তৈরিতে সৌন্দর্য এবং একুরেসি অপরিহার্য বিষয়। সৌন্দর্য এবং একুরেসি ঠিক রাখতে কাটিং এবং এজিং এর সাথে সাথে বোরিং এর বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা প্রয়োজন।